গায়ে হলুদ
এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা মহাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বহু স্থানে বিয়ের নিয়ম রীতি আছে! সভ্যতার উষালগ্ন থেকে এ রীতি চলে আসছে, এই শুভ পড়িনিটিতে আমাদের পূর্ব পুরুষরা যেমন বিশ্বাসী ছিলেন! আমরাও তেমন বিশ্বাসী… আর তাই বিয়ের একটা প্রধান অঙ্গ গায়ে হলুদ, যা আমাদের এশিয়ার কিছু কিছু দেশে বিদ্যমান আছে! আমাদের এই গায়ে হলুদের কথা আপনারও হতে পারে! এখন গায়ে হলুদের কথা বলছি –
বলি হাই ক্লাস, লো ক্লাস সব জাতি
বাবা ধুমে ধামে করে তাদের বিয়ে শাদী
গায়ে হলুদের দিনে মজা হয় যে বেশি
আবার বৃদ্ধ-বনিতা তার মুখে থাকে হাসি
ও ভাইজান, আনো মিষ্টির হাঁড়ি
ও ভাবীজান, আনো হলদির শাড়ি
ও ভাইজান, কর মেহমানদারী
ও ভাবীজান, কন্যা কি শ্রী দেবী
ও পাড়ার যত বেড়ে ওঠা যুবতীরা
খুশির মাতন্দলায় দোলে সব মতোয়ারা
চলছে খসর খসর শব্দে হলদি মেহেদী বাটা
ফলে পাঁকা ছেলে ছোকরা যে ফিল্লিং মারা
আবার উচ্চ সরে বাজছে গানের ক্যাসেট
শুনে খিলি খিলি খুকি খোকা মজেছে বেশ
রান্না ঘরের রাঁধুনিদের যুদ্ধের নেই যে শেষ
হচ্ছে লুচি পরোটা আর ক্ষীর পায়েস
ও পক্ষের পক্ষ যখন পৌঁছে কন্যার বাড়ি
শুরু হয় হলুদ মাখানোর বৃহৎ সারি
বন্ডের গান বাজনার সাথে চলে নাচানাচি
আর নানী দাদির গালে নাচে পানের খিলি
তখন কন্যার চোখে মুখে সুখের দোলা জাগে
অন্যদিকে বুকটা দুরু দুরু কাঁপে
পুরনো সখীরা যে সান্ত্বনা দেয় হেসে
সোনালী স্বপ্নটা দেখে চোখ ভুজে
আ… আ… আ… গায়ে হলুদ
তার-পরদিন শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান
সারা বাড়ি বিশাল উৎসব চলে আয়োজন
আকাশের বুক ছিঁড়ে ওঠে আতসবাজি
নানান আলোয় প্রাণ পায় বিয়ে বাড়ি
শত আনন্দের মাঝে বিয়ে পড়ায় কাজী
সব ছেড়ে যায় কন্যা পরের বাড়ি
মা বাবা ভাই বোন সাথীদের ছেড়ে
স্মৃতিটুকু রেখে যায় চোখের কোণে
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই
বিয়ের অনুষ্ঠানে ফুর্তি করে আনন্দ পায়
যে যার রীতিতে অনুষ্ঠান সাজায়
দুটি মন চিরতরে এক যে হয়
সারা পৃথিবীতে এই রীতি চলছে সদায়
দুটি মিলনে শুধু মানুষেই হয়
হাসি কান্না সুখ মিলে এই জীবন
তাই গায়ে হলুদের কথা কর স্বরণ
ও ভাইজান, আবার বিয়ে নাকি
ও ভাবীজান, এক রত্নের বুঝি
ও ভাইজান, খ্যাপা খেপেছে বুঝি
ও ভাবীজান, কন্যা কি আছে রাজি?